![]() |
BCS Exam preparation, বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি,বই আলোচনা,বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গ্রন্থসমূহ,অসমাপ্ত আত্মজীবনী,কারাগারের রোজনামচা,দেয়াল - হুমায়ুন আহমেদ |
শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচিত গ্রন্থসমূহ – বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি – সাধারণ জ্ঞান – Books about Sheikh Mujibur Rahman - BCS Exam Preparation – General Knowledge
- - - - - - - - - - - - - - -
গ্রন্থ – লেখক
১। অসমাপ্ত আত্মজীবনী- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী।
২। কারাগারের রোজনামচা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (কারাগারে বসে লেখা ডাইরির সংকলন)।
৩। মুজিব ভাই - এবিএম মূসা
৪। শেখ মুজিবুর রহমানের সহজ পাঠ- - আতিয়ার রহমান
৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালী-- কামাল উদ্দিন হোসেন
৬। দেয়াল (উপন্যাস) - হুমায়ূন আহমেদ
৭। বঙ্গবন্ধু জাতি রাষ্ট্রের জনক- প্রত্যয় জসীম
৮। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে কাছে থেকে দেখা - মুস্তাফা সারওয়ার
৯। জনকের মুখ- আখতার হুসেন (সম্পাদক)।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের রচয়িতা - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়— জুন, ২০১২ সালে, প্রকাশ করে ইউনিভার্সিটি প্রেস লি.।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ইংরেজি শিরোনাম— The Unfinished Memoirs.
-অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটির কপি রাইট- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-২০১২।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের প্রচ্ছদ অংকন করেন- সমর মজুমদার।
-শেখ মুজিবুর রহমান ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লেখা শুরু করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে।
-শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনে সব থেকে মূল্যবান সময়গুলো কাটে--- কারাবন্দি অবস্থায়।
-৫৫ বছরের জীবনকালে শেখ মুজিবুর রহমান—৪,৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন (সংসদে প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী)।
-শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির বাড়িটি বন্ধ করে রাখা হয়- ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ এর পর থেকে। সাত্তার সরকার বাড়িটি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয় ১২ জুন, ১৯৮১ সালে।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ভূমিকা লিখেন- শেখ হাসিনা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন শেখ রেহানা।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে শেখ মুজিবুর রহমান আত্মজীবনী লিখেছেন—১৯৫৫ সাল পর্যন্ত।
-তিনি আত্মজীবনী রচনা করেন- ১৯৬৬-৬৯ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে রাজবন্দি থাকাকালীন অবস্থায়।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা ইংরেজিতে অনুবাদ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনী আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন- আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নাভী; চীনা ভাষায়— চাই সি এবং জাপানি ভাষা- কাজুহিরো ওয়াতানাবে।
-ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে শেখ মুজিবুর রহমান যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যের স্মৃতিচারণ করেন- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর।
-শেখ মুজিবুর রহমান বিয়ে করেন– ১২/১৩ বছরে এবং বিয়ের সময় তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল- ৩ বছর।
-শেখ মুজিবুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন- ১৯৩৪ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় এবং তিনি অসুস্থতার কারণে পড়াশুনা করতে পারেননি- ৪ বছর।
-শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে সর্বপ্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়- ১৯৩৮ সালে।
-হিন্দুদের সাথে করা মারামারি ও দাঙ্গাহাঙ্গামার মামলায়।
-শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম ছাত্রলীগের সম্পাদক নিযুক্ত হন—১৯৩৯ সালে।
-শেখ মুজিবুর রহমান মেট্রিক পাশ করেন ১৯৪১ সালে (দ্বিতীয় বিভাগে)।
-‘Sincerety of purpose and honesty of purpose' থাকলে জীবনে পরাজিত হবা না - শেখ মুজিবুর রহমানকে এ উপদেশ দিয়েছিলেন- তার পিতা।
-শেখ মুজিবুর রহমান যে অর্থনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন-- সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।
-শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষায় রাজনৈতিক প্রয়োজনের সময় কোন নেতা কৌশলে আত্মগোপন করতেন - মাওলানা ভাসানী।
-‘আমি বুড়া আর মুজিব গুড়া, তাই ওর আমি নানা, ও আমার নাতি উক্তিটি করেন- শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।
-শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের নিয়ে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামক সংগঠন গড়ে তুলেন—- ১৯৬০ সালের ডিসেম্বর মাসে।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনীর তথ্যানুযায়ী ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানি ঘটে- ১০ লক্ষ লোকের।
-শেখ মুজিবুর রহমান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন- ৫ জুন, ১৯৫৫ সালে।
-শেখ মুজিবুর রহমান এর পিতা ও মাতা যার বিরুদ্ধে বক্তব্য না দেওয়ার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে পরামর্শ দিতেন - শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের বিরুদ্ধে।
-মুসলিম লীগ ডিফেন্স কমিটিতে শেখ মুজিবুর রহমান এর পদ ছিল- সেক্রেটারি।
-অসমাপ্ত আত্মজীবনী শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ৪টি খাতার সংকলন।
-রাজনৈতিক জীবনের সূচনার পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমান কোন নেতার আদর্শের ভক্ত হয়ে পড়েছিলেন - সুভাষ চন্দ্র বসু।
-শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য হন- -১৯৪৩ সালে।
-ইসলামীয়া কলেজে অধ্যায়নকালে শেখ মুজিবুর রহমান থাকতেন-- বেকার হোস্টেলে। তিনি ছিলেন মানবিক বিভাগের ছাত্র।
-শেখ মুজিবুর রহমান যে দৈনিক কাগজের পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলেন - ইত্তেহাদ।
-পাকিস্তান সৃষ্টির পর শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রথম জেলে ঢুকানো হয়—১১ মার্চ, ১৯৪৮ সালে এবং মুক্তি পান ১৫ মার্চ, ১৯৪৮ সালে।
-‘দরকার হলে সমানে হাতও চালাতে পারতাম, আর এটা আমার ছোটকাল থেকে বদ অভ্যাসও ছিল’- উক্তিটি শেখ মুজিবুর রহমানের।
-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় রাষ্ট্রভাষা বাংলা আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন - শেখ মুজিবুর রহমান।
-‘জেলের মধ্যে জেল, তাকেই বলে সেল’ উক্তিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
-ঢাকা জেলে শেখ মুজিবুর রহমান কাজ করতেন- সুতা কাটার।
-শেখ মুজিবুর রহমান খুলনা জেলে ছিলেন-- প্রায় তিন মাস। তাকে নাকের ভিতর দিয়ে খাওয়ানো হতো ফরিদপুর জেলে।
-‘বালুর দেশের মানুষের মনও বালুর মতো উড়ে বেড়ায় আর পলি মাটির বাংলার মানুষের মনও ঐ রকমই নরম, ঐ রকমই সবুজ’- উক্তিটি-- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
-‘বিদেশে না গেলে নিজের দেশকে ভালোভাবে চেনা কষ্টকর’ শেখ মুজিবুর রহমান উক্তিটি করেন ১৯৫২ সালের চীন সফর শেষে।
-কারাগারের রোজনামচা প্রকাশিত হয়- ফাল্গুন, ১৪২৩মার্চ, ২০১৭; প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি প্রকাশক- ড. জালাল আহমেদ।
-কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থের প্রচ্ছদ ও গ্রন্থ নকশা করেন– তারিক সুজাত।
-গ্রন্থস্বত্ব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।
-কারাগারের রোচনামচা গ্রন্থের ভূমিকা লিখেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
-কারাগারের রোজনামচা বইটির নাম রাখেন শেখ রেহানা।
-কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থটির ইংরেজি শিরোনাম— Prison Diary of Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman ইংরেজি অনুবাদ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম।
-শেখ মুজিবুর রহমান জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হন ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২ সালে। এবং মুক্তি লাভ করেন- ১৮ জুন, ১৯৬২ সালে।
-শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন-১ মার্চ, ১৯৬৬ সালে।
-কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থটির মূল উৎস—- শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ডাইয়েরী (১৯৬৬-৬৮)।
-১৯৬০ সালে জেলখানায় বসে শেখ মুজিবুর রহমান লেখেন— দুইটি খাতা। যার মধ্যে একটি খাতার শিরোনাম ছিল ‘থালা বাটি কম্বল, জেলখানার সম্বল’ - পরবর্তীতে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) খাতাটি খুঁজে বের করেন।
-কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থটির মূল বিষয়— ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার সোপানগুলোর বিভিন্ন দিকের আলোচনা।
-‘জেলের ভিতর অনেক ছোট ছোট জেল আছে’ উক্তিটি শেখ মুজিবুর রহমানের।
-‘মানুষ যখন অমানুষ হয় তখন হিংস্র জন্তুর চেয়েও হিংস্র হয়ে যায়’ উক্তিটি-- শেখ মুজিবুর রহমানের।
-‘গুড়ার পরে পান্ডা, পাণ্ডার পর নেতা, এই তো হলো নেতার ডেফিনেশন’ শেখ মুজিবুর রহমান এ উক্তিটি করেন নূরুল আমীনকে ইঙ্গিত করে।
-‘ভদ্র লোকের কিল খেয়ে কিল হজম করতে হয়’ উক্তিটি শেখ মুজিবুর রহমানের।
-শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী জেলখানায় তার সাথে দেখা করে সবচেয়ে বেশি আঘাত পেতেন-- শেখ রাসেল।
-১৯৪৮ সালের কোন তারিখকে ‘বাংলা ভাষা দাবি’ দিবস ঘোষণা করা হয়—১১ মার্চ।
-ভাষা আন্দোলনের সময় শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজনকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল- ঢাকা জেলখানার চার নম্বর ওয়ার্ডে।
-জেলখানায় শেখ মুজিবুর রহমান যে ওয়ার্ডে থাকতেন তার নাম সিভিল ওয়ার্ড।
-বাঙালিদের চেয়েও ওদের একতা বেশি শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা জেলখানায় বসে একথা লিখেছেন জেলখানার শত শত কাক সম্পর্কে।
-শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীর বক্তব্য অনুযায়ী পাকিস্তানে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির আন্দোলন ও জুলুমের প্রথম প্রতিবাদ ছিল-- ১৯৪৯ সালে দিনাজপুর জেলায় ছাত্রবন্দি ও অন্যান্য বন্দির মুক্তির প্রতিবাদে ডাকা ‘জুলুম প্রতিরোধ দিবস’।
-১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান--১৭ জানুয়ারি।
-১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যখন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করা হয় তখন শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন- জেলায়খানায়।
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তারের পর রাখা হয়-- সেনাবাহিনীর ১৪ ডিভিশন হেডকোয়ার্টারের অফিসার মেসের ১০ নং কক্ষে।
-‘পড়েছি পাঠানের হাতে খানা খেতে হবে সাথে’ শেখ মুজিবুর রহমান উক্তিটি করেন— আগরতলা মামলায় সেনানিবাসে বন্দি থাকা অবস্থায়।
-কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থে শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা প্রস্তাব পেশের তারিখ উল্লেখ করেছেন- ১৩ জানুয়ারি, ১৯৬৬ (পৃ, ২১৪)। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবন পরিচয় অংশে ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ উল্লেখ করা হয়েছে।
-আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়- আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্স আইনে।
-‘খানে দজ্জাল তো দুনিয়াতে এসেছে, ইমাম মেহেদীর খবর কি?’ শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানায় কথাটি বলেছিলেন— ডিআইজি ওবায়দুল্লাকে।
-শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত জেলে গিয়েছিলেন- ৫ বার।
-শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গ্রেপ্তারের পর তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি রাখা হয়— ধানমন্ডির ১৮ নম্বর বাড়িতে।
-কয়েকটি বিরোধী দলের (পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন নামক ঐক্যজোট) ৬ দফার পরিবর্তে ৮ দফা কর্মসূচিকে শেখ মুজিবুর রহমান, অভিহিত করেছেন - পূর্ব বাংলার লোকদের ধোকা দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে।
-শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার নাম ‘বাংলাদেশ’ করেন- ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন